নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
ফেনীর ছাগলনাইয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম এর বাসার রান্না করা খাবার শুধু তার পরিবারই খায় না; মাঝে মাঝে থানায় আগত এতিম শিশু ও খায়।
বুধবার (২৮ জুলাই) রাত বারোটার পরে একজন এতিম মেয়ে শিশুকে পূর্ব ছাগলনাইয়া এলাকায় তার পালক পিতা একটি গৃহে বন্দি করে রেখেছে মর্মে খবর পেয়ে ছাগলনাইয়া থানা পুলিশ শিশু মেয়েটিকে উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া থানায় নিয়ে আসে।
মেয়েটি সারারাত না খেয়ে প্রচন্ড ক্ষুধার্ত ছিল; গভীর রাত হয়ে যাওয়ায় কোথাও খাবারও পাওয়া যাচ্ছিল না, ঠিক সেই মুহুর্তে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম স্বেচ্ছায় আগ্রহী হয়ে নিজের পরিবারের জন্য রান্না করা খাবার (চিংড়ি মাছ, ডাল, রুই মাছ, ভাজি, গরুর গোশত, ভাত) বাসা হতে এনে এতিম মেয়েটিকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলেন।
এমতাবস্তায় ছাগলনাইয়া থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “মানব হিতৈষী অফিসার ইনচার্জ এর জন্য অন্তরের অন্তরস্থল থেকে অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় আপনার মত এমন বিচক্ষণ ও মানবিক অফিসার ইনচার্জ ই পারে এ দেশের মানুষকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে। আপনার থানার একজন সহকর্মী হতে পেরে এমন মানবহিতৈষী কাজের জন্য নিজে ও গর্ববোধ করছি।”
পরবর্তী মেয়ের দেয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে পালক পিতা মোঃ হোসেন কর্তৃক যৌন পীড়ন ও মারধরের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করে মেয়ের পালক পিতা (মোঃ হোসেন) কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে বৃহস্প্রতিবার (২৯ জুলাই) ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান মামলার বাদী ঐ মেয়েকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখতে চট্টগ্রামে হাটহাজারী নারী ও শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণের আদেশ দেন। অপরদিকে মামলার আসামী মোঃ হোসেন কে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
ছাগলনাইয়া থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আওলাত হোসেন, পালক বাবা কে কারাগারে ও পালিত মেয়ের কোনো অভিভাবক না থাকায় তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখায় চট্টগ্রাম হাটহাজারী নারী ও শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণের আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
Recent Comments