আবদুল মান্নানঃ-
ফেনীর পরশুরামের সাতকুচিয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে মৌসুমী ফল আম,কাঁঠাল কম দেয়ায় স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করেছে স্বামী ইয়াকুব আলী। এসময় ইট দিয়ে তার স্ত্রী ফারজানার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেঁতলে দেয় স্বামী ইয়াকুব আলী।
সোমবার (২৮ জুন) সকালে “শ্বশুরবাড়ি থেকে মৌসুমী ফল আম,কাঁঠাল কম দেয়ায় স্ত্রীকে পিঠিয়ে গুরুতর আহত” এমন শিরোনামে সংবাদটি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ফেনী জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরন্নবী মহোদয়ের নজরে আসে। তিনি বিষয়টিকে আমলে নিয়ে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরশুরাম মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপার এর নির্দেশে পরশুরাম থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ-খালেদ হোসেন এর নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গৃহবধূ ফারজানার উপর স্বামীর নির্মম নির্যতন ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ফারজানার স্বামী ইয়াকুব আলী ও শশুর দলিল লেখক আবুল কাসেম ভেন্ডারকে আটক করে। এ ঘটনায় সোমবার (২৮ জুন) গৃহবধূ ফারজানা আক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরশুরাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
জানা যায় রবিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা আহত ফারজানা’কে উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ফারজানা পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সোমবার সকালে ফারজানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন তার স্বামী একজন নেশাগ্রস্ত, চার লাখ টাকা যৌতুকসহ তুচ্ছ কারণে এর আগেও বহুবার তাঁকে মারধর করেছে।
রবিবার (২৭ জুন) রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘরে ঢুকে ফারজানার বাপের বাড়ি থেকে আম-কাঁঠাল কম পাঠানোর অভিযোগে লোহার রড দিয়ে হাত,পা এবং মাথা আঘাত করে এরপর একটি ইট দিয়ে মাথা ও পিঠ থেঁতলে দেয়।
পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রোকসানা সুরাইয়া জানান ফারজানার শরীরে একাধিক স্থানে পিটিয়ে মারার মারাত্মক জখম রয়েছে। মাথা হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
জানা যায় সাতকুচিয়া গ্রামের আবুল কাশেম বেন্ডরের ছেলে এয়াকুব(৩৫) এর সাথে উত্তর চন্দনার ফারজানা আক্তার সুমির বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে এর আগেও ফারজানাকে মারধরের অভিযোগে পরশুরাম থানা মামলা হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা করে পূনরায় সংসার শুরু করেন ফারজানা ও ইয়াকুব আলী। ফারজানা অভিযোগ করেন ইয়াকুব আলী নেশা করে বিভিন্ন অজুহাতে প্রতিনিয়ত তাঁকে মারধর করেন।
Recent Comments