স্টাফ রিপোর্টারঃ-
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা প্রদানে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “বঙ্গবন্ধু ব্লাড ব্যাংক ছাগলনাইয়া”।
টিকা প্রদানের প্রথম ধাপ থেকে শুরু করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সরকারিভাবে প্রশিক্ষন নিয়ে টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় রেজিস্ট্রারে তথ্য এন্ট্রি, সিরিয়াল মেন্টিন, পরামর্শ প্রদান করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বঙ্গবন্ধু ব্লাড ব্যাংকের সদস্যরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রতিদিনের মতো ৭৪ তম দিনেও বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে যাচ্ছেন সংগঠনের ৩০ জন সদস্য।
এছাড়াও উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়নে গনটিকা কার্যক্রমে সংগঠনের ৭০ জন সদস্য কাজ করেছেন। টিকা নিতে আসা রহিমা বেগম, সামছুল হক, সাখাওয়াত হোসেন ও পেয়ারা বেগম তাদের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দেশের কোথাও এতো সুন্দর সু-শৃঙ্খল পরিবেশে টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে মনে হয়না। এখানে এসে আমরা স্বস্থির নিশ্বাস ফেলে টিকা নিচ্ছি।
তাদের কার্যক্রমে খোদ সন্তোষ প্রকাশ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্তাবধায়ক ডাঃ শিহাব উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহের সহ উপজেলার সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু ব্লাড ব্যাংকের সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ও সংগঠক এনায়েত উল্যাহ সোহেল বলেন, ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করি। “মানবসেবাই আমাদের অঙ্গীকার” এই স্লোগান নিয়ে সামাজিক ও মানবিক কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে সংগঠনের সদস্যরা। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫ জন মানুষকে বিনামূল্যে রক্ত প্রদান করা হয়। উপজেলার জিরো পয়েন্টে জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পিন করা হয়। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সহ ফেনী জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে ফ্রী ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি পালন করা হয়।
এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে জেলা বিভিন্ন স্থানে ২৯৫ জনকে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান করা হয়। যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে। কোভিট-১৯ ভ্যাকসিন টিকা প্রদানের শুরু থেকে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ৭৪ তম দিনেও বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে আসছি। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ হলরুমে এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন আমাদের ৩০ জন সদস্য। টিকা নেওয়ার পর সাধারণ মানুষকে ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণে রাখতে নিরাপদ স্থানে বসার ব্যবস্থা করেছি। ডাক্তারের পাশাপাশি আমাদের সদস্যদেরও প্রস্তুত রেখেছি। যাতে টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষের কোন সমস্যা না হয়।
তিনি আরো বলেন, টিকা কার্যক্রম যতদিন চলবে ততদিন আমাদের এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের প্রস্তুত রেখেছি। জাতীয় (কোভিড-১৯) টিকাদানে আমাদের এই কার্যক্রমকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, ইউএনও সাজিয়া তাহের এবং উপজেলার টিএইচও ডাঃ শিহাব উদ্দিন রানা মহোদয়গনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
Recent Comments