সিলেট প্রতিনিধি
মাওঃ অাব্দুল কাইয়ুম মামুনুল হকের কর্মকান্ড নিয়ে মামুনুল কে পরিহার করার জন্য তার নিজের ফেসবুকে স্টেটাস পোষ্ট করেন। পোষ্টি তুলে ধরা হল।
আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহ পাকের শুক্রিয়া যে,বাংলাদেশের মুসলিম জনতা আজ আরো একটি মিথ্যা অপবাদের চলনা থেকে পরিত্রাণ পেল। এজন্য যে,মামুনুল হক সাহেব নিজেই স্বীকার করে নিলেন ফোন আলাপ গুলো, এডিট বা ফেইক না, তাহার নিজেরই আলাপ এগুলো। সাথে সাথে আরো বললেন স্ত্রীদের সাথে সীমিত মিথ্যা বলা যায়।
যদি উনি কোনো সময় গ্রেপ্তার হয়ে এই কথা গুলো বলতেন তা হলে উনার রুহানি সন্তানরা বলে বেড়াতেন উনার উপর টর্চার করিয়া মিথ্যা স্বীকার উক্তি নেওয়া হয়েছে। আর আমাদের মতো আম-জনতা অন্ধ বিশ্বাস করে ফেলতাম।
এখন উনার রুহানি সন্তান যাহারা এতো দিন সোশ্যাল-মিডিয়ায় ঝড় তুলে আওয়ামীলীগ ও অংগ-সংগঠনের সকল নেতা কর্মীদের ডালাও ভাবে জারদসন্তান,কুত্তারসন্তান,নাস্তিক,মুর্তাদ বলে গালাগালি দিয়েছেন এখন সেগুলা কাদের উপর বর্তায়? অন্যদের মিথ্যা অপবাদ দেয়া গালি গুলি এখন নিজেদের উপরই তো পরিতেছে নয় বা কি।
আর হুজুর যে স্ত্রীদের সাথে সীমিত পরিসরে মিথ্যা কথা বলার কথা বলেছেন স্ত্রীদের খুশির জন্য তা হলো স্ত্রীদের জন্য কেনা-কাটা করলে তাদের খুশির জন্য মূল্য বৃদ্ধি করে বলা জায়েজ আছে। আর আরো হলো স্ত্রীকে খুশি করার জন্য স্ত্রীদের প্রাসঙ্গিক কিছু বলা।
যেমন অসুন্দরী হলেও তাকে সুন্দরী বলা, কম বুদ্ধি হলেও তাকে বুদ্ধিমতী বলা এইসব প্রাসঙ্গিক বিষয়ে কিছু কিছু স্ত্রীর সন্তুষ্টির জন্য অতিরঞ্জিত কিছু বলা আমার জানা মতে শরিয়তে জায়েজ আছে।
তবে প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে বিবাহ করা আবার প্রথম স্ত্রীর কাছে দ্বিতীয় স্ত্রীকে অন্যের স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করে বিবাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিয়া স্ত্রীর কাছে মিথ্যা বলা শরিয়ত সম্মত কি না যাচাইয়ের অবকাশ রইয়াগেছে যাহা আমার জানা মতে।
কারণ আমিও তো ১ম বিভাগে কওমি টাইটেল/কামিল পাস করেছি ১৯৯১ ইংরেজিতে। আমিও কোরআনের তাফসির বুখারী সহ হাদীসের কিতাব হেদায়া সহ ফেকাহের মাসলা-মাসায়েলর কিতাবাদী থেকে কিছু তো বুঝেছি।
কেহ কেহ আমাকেও নাস্তিক বলতেছে আরে বেটা! নাস্তিক আর আস্তিক আমাকে শিখাইবা। আমি সহ আওয়ামীলীগ যারা করে তারাও হেফাজতে ইসলামের আসল লোক,আর শেখ হাসিনা হেফাজতে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ নেতা কারণ তাহার দ্বারা ইসলামের অনেক অনেক উপকার হইতেছে যেমন ইসলামী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকারি ব্যবস্তাপনায় ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের ছুবাহী মক্তবের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন শিক্ষার ব্যবস্তা করে দিয়েছেন এবং প্রতিটি উপজেলায় সরকারি ভাবে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে নান্দনিক মসজিদ নির্মাণ করে ধর্ম-প্রাণ মুসলমানদের নামাজ আদায়ের সু-ব্যবস্তা করে যাচ্ছেন আর তাবলিক জামত ও মারকাজ মসজিদের জন্য সরকারি ভাবে ব্যবস্তা করে দিয়েছেন।
এছাড়াও দেশের প্রতিটি মসজিদ, মক্তব ও কওমি মাদরাসাকে সরকারি ভাবে আর্থিক অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন। এবং কওমি মাদরাসার সর্বচ্চ ডিগ্রি তাকমিল ফিল হদিস বা টাইটেলকে মাস্টার্স সমতূল্য সরকারি স্বীকৃতি দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
তারপরও কি উনিসহ তাহার সরকার ও দলকে অন্যায় ভাবে মিথ্যাচার করিয়া অকৃতজ্ঞের মতন নাস্তিক, মুর্তাদ ইত্যাদি ইত্যাদি না বুঝিয়া গালমন্দ করিয়া যাইবেন? মহান আল্লাহ সকলকে সঠিক বুঝদান করে আমাদের সকলকে ধোঁকাবাজদের হাত থেকে হেফাজত করেন আমিন।
Recent Comments