কক্সবাজারের ছেলে আকিবুল ইসলাম (আরিয়ান) ছোট বেলা থেকে যেমন ছিলেন মেধাবী তেমনি ডান পিঠে ছাত্র জীবনে স্কুলের দুরন্ত বালকটি উচ্চ মাধ্যমিক পড়া শুনা শেষ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ছুটেছেন দীর্ঘ সময়’আয়ত্ব করেছেন মোবাইল সফটওয়্যারের আইটির কাজ ।
কিন্তু সফলতা পেতে যে মাথার ঘাম পায়ে পেলতে হয় তা জানা ছিলো বরাবরের মতোই । কঠোর পরিশ্রম মেধা খাটিয়ে রাজধানীর স্বনামধন্য মোতালিব প্লাজা মার্কেটের ৪র্থ তলায় এক কোণে একটি দোকানের সামনে ছোট্ট একটি চেয়ার টেবিল নিয়ে নিজের কষ্টের অর্জিত টাকা দিয়ে মোবাইল সফটওয়্যারের কাজের জন্য একটি ল্যাপটপ নিয়ে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ভাড়া নিয়ে কাজ শুরু করেন।মোবাইল আইটির কাজ করে পরিবার নিয়ে বেশ ভালোই যাচ্ছিল আরিয়ানের ।
কাজের দক্ষতা আর মানুষের ভালোবাসায় এগিয়ে যাচ্ছিলেন আরিয়ান ।যাহা দেখে পাশভর্তি অনেকের চোখে ভালো লাগে নি তাই তো কিছু কুচক্র মহল তাদের সাধ্য সিদ্ধি হাসিল করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার করে আইনের হাতে তুলে দেয়া আকিবুল ইসলাম আরিয়ান’কে শত চেষ্টা করে ও ঐ দিন আইনের লোকদের বুঝানো যায়নি আমি ঐ সব এর মধ্যে নেই শেষবারের মতো আমি যখন তাদের বুঝাতে চেয়ে ছিলাম যে আপনারা ভুল পথে হাঁটছেন তারপর ও বুজতে চাননি তারা ভাগ্যের নির্মম পরিহাস নিয়ে গেলো তারা তার কোনো অপরাধ ছিলো না ,তারপর ও তাদের বলে ছিলাম প্লিজ আমার জীবনটা এভাবে নষ্ট করবেন না।’

তখন আমি তার চোখে মমতার পরিবর্তে হায়নার ক্রোধ দেখছিলাম। নিরুপায় হয়ে যখন কিছুতেই আমি তার পা ছাড়ছিলাম না,অসহায় চোখে গড়ে তোলা মায়ের স্বপ্ন, বিশ্বাস আর ভবিষ্যৎকে একজন সৈনিকের বুটজুতার তলে পিষ্ট হতে দেখছিলাম। এভাবেই জীবনের স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার মুহূর্তের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিলেন প্রগতিশীল মোবাইল সফটওয়্যারের আইটির ইন্জিনিয়ার আকিবুল ইসলাম আরিয়ান বুটজুতার তলে বুক পিষ্ট হলেও পিষ্ট হয়নি তার বুকে তিল তিল করে গড়ে উঠা স্বপ্ন।
ওই দুর্ঘটনাই তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। একটা ব্যর্থতায় মোড়া দুর্ঘটনাই সফলতার পথে তাকে জাগিয়ে রেখেছিল ভোর থেকে ভোর। আরিয়ান জানালেন, হ্যাঁ, কোনো উজ্জ্বল সফলতা নয়, এই ছোট্ট জীবনে যা কিছু অর্জন, যতটুকু এগোতে পেরেছি, তার পুরোটাই যে ওই ঘটনায় পাওয়া জীবনবোধের কারণেই, তা আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি।
ওই ঘটনার সুতীব্র ধাক্কা শুরুতে আমার সবকিছু থামিয়ে দিলেও পরবর্তীতে এগিয়ে যেতে এমন আরেক জোরালো ধাক্কা দিয়েছিল যে, সে গতি আর থামেনি কখনো। এখনো চলছে বিপুল বিক্রমে। আসলে মানুষ তো বাঁচে স্বপ্নে, কিন্তু অপ্রত্যাশিত কোনো আঘাতে মানুষের সারা জীবনের স্বপ্ন কাঁচের মতো ঝুরঝুর করে ভেঙে যেতে পারে তা কেবল গল্প উপন্যাসে পড়েছি, বাস্তবে উপলব্ধি করিনি কোনোদিন।
সৃষ্টিকর্তা পরীক্ষার হলে তারই বাস্তবায়ন ঘটালেন আমাকে দিয়ে। বললেন আরিয়ান। অধ্যবসায়ী এই তরুণের ভাষ্য, নিজের ছোট্ট জীবন থেকে বুঝতে পেরেছি, যে কোনো মুহূর্তে, যে কোনো জায়গা থেকেই মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। শুধু লাগে একটা দৃঢ় প্রত্যয়। আসলে শেষ বলে কিছু নেই, ব্যর্থতার মাঝেই লুকিয়ে থাকে বড় কোন বিজয়ের প্রেরণা।
আরিয়ান বলেন, আমার কারো উপর কোনো অভিযোগ নেই। আমি যে হারিয়ে যাইনি এটাই জরুরি খবর। সব সম্ভবের এ দেশে আমার স্বপ্নগুলো যে ‘বুটের আঘাত’ নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারেনি এটাই বা কম কিসে! এই লেখাটা যদি খুলনার সেই অধ্যক্ষ আর শিক্ষক পড়েন তবে বলব, পেশিশক্তি দিয়ে কাউকে আপাত দৃষ্টিতে দমিয়ে রাখা গেলেও স্বপ্নবাজরা অপেক্ষা করেন সত্যিকার কোনো সময়ের, যে সময় হয়ে ওঠে নিজেই বিপ্লবী।
আরিয়ান এর ভাষ্য, আমার মনে হয়েছে, যে কোনো ব্যর্থতাই আসলে আরো বড় কোনো সফলতার উপলক্ষ্য মাত্র! আর তাই,আগামীতে আরো বড়ো কোনো সফলতার প্রতীক হয়ে উঠবে, উজ্জ্বল করবে নিজের পরিবার ও দেশের মুখ। নিজেকে ধ্বংস করে নয়, গড়তে হবে নতুন করে। তুমি পারবে- এই বিশ্বাস রাখতে হবে প্রাণে। কেননা, ‘If You Believe, You Can Achieve.’ তাই, বলি, সহজেই হাল ছেড়ো না।
নিজের মেধা ও যোগ্যতার উপর ভরসা রেখো। ভরসা রেখো সৃষ্টিকর্তার উপর। তোমার জন্য কী অপেক্ষা করছে তুমি জানো না। কেননা, জীবন ক্ষণে ক্ষণে বাঁক বদলায়। খাদের কিনারে দাঁড়িয়েও শেষ মুহূর্তে ফেরার পথ খুঁজে পায় মানুষ, জীবন নেয় নতুন আরেক বাঁক।
এইতো জীবন, মায়াবী অদ্ভূত রহস্যে ঘেরা! আজ সেই আকিবুল ইসলাম আরিয়ান শ্রমে ঘামে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন নিজ প্রতিষ্ঠিত আইফিক্সস ফাস্ট রিপেয়ার সেন্টার যার মধ্য দিয়ে এদেশের একদল দক্ষ যুবকের কর্মসংস্হানের ব্যবস্থা ও আরিয়ানের আইফিক্সস ফাস্ট রিপেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে সাবলম্বি হয়েছেন অনেকে।
বর্তমান সময়ের মোবাইল সার্ভিসিং এর আধুনিকায়নে গুরুত্বপূন্য ভুমিকা পালন করবে আরিয়ানের আইফিক্সস ফাস্ট রিপেয়ার সেন্টার।
Recent Comments